কোচ জেমি কাতার যাচ্ছেন আজ

দম বন্ধই হয়ে যাচ্ছিল জেমির। পঞ্চমবার এসে বাংলাদেশ ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডের করোনা নেগেটিভ এসেছে। সেই খবরে কাতারে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে জাতীয় ফুটবল দল। দম নিচ্ছেন কোচ জেমি ডে নিজেও। আজই কাতারের পথে রওনা হবেন। শুক্রবার কাতারের রাজধানী দোহায় বাংলাদেশ ও কাতার বিশ্বকাপের ফিরতি বাছাই ম্যাচে মুখোমুখি হবে।

গত ১৩ এবং ১৭ নভেম্বর ঢাকায় বঙ্গবন্ধু ফুটবল সিরিজে খেলেছিল বাংলাদেশ ও নেপাল। দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই কোচ জেমি ডের করোনা ধরা পড়ে। তার পর হতেই জেমি ডে ঢাকায় হোটেল রুমে। টানা ১৪ দিন রুমের মধ্যে অবস্থান করে জেমির যেন দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। চার বার করোনা টেস্ট করিয়ে পজিটিভ হন। পঞ্চমবারে জেমি নেগেটিভ হয়েছেন। যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। ইংল্যান্ডে তার পরিবার ছিল দুশ্চিন্তায়। যতদূর জানা গেছে, সারাক্ষণ জেমির পরিবার কথা বলেছেন ঢাকায়। জেমি খুব খুশি, বিপদ কেটে গেছে।

ঢাকায় বিপদ কাটলেও কাতারে গিয়ে কী হবে সেটা নিশ্চিত না। সেখানে বিমান থেকে নেমেই আবার করোনা টেস্ট করানো হবে। বাফুফে চেষ্টা করছে কাতার যেন নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জানিয়ে দেয়। নেগেটিভ হলে জেমি ফুটবল দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন। সেই সঙ্গে শুক্রবার ম্যাচেও ডাগ আউটে অবস্থান করতে পারবেন।

বাংলাদেশ ফুটবল দল কাতারে গিয়ে দুটি অনুশীলন ম্যাচ খেলছে। প্রথম ম্যাচে ৩-২ গোলে আর্মি ফুটবল দলের বিপক্ষে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে লুজাইল স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে। দুই ম্যাচের ভুল নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এখন। গতকাল দোহায় সুপার ক্লাবের আল আজীজিয়া বুটিকের মাঠে দেড় ঘণ্টা অনুশীলন করেন জামাল ভুঁইয়ারা। তপু বর্মণদের দেখানো হয়েছে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করে খেলতে হবে। বিশেষ করে পাসিং, কাউন্টার আক্রমণ, ছোট ছোট দল তৈরি করে খেলানো হয়েছে। তার পরই জিমনেসিয়ামে গিয়েছেন খেলোয়াড়রা। বিকালে সুইমিংপুলে সাঁতার কেটেছেন। এভাবেই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ফিটনেস আনার কাজটাও এগিয়ে আনা হচ্ছে। কাতারকে ঠেকাতে রক্ষণ মেরামতের কাজ চলছে।

জাতীয় দলের স্টাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন গতকালই প্রথম দলের সঙ্গে পুরোপুরি অনুশীলন করেছেন। ঢাকা থেকে যাওয়ার পর নিজে নিজে একা অনুশীলন করেছেন বলে গতকাল কাতার থেকে ভিডিও বার্তায় জানান জীবন। তিনি বলেন, ‘আমি এতদিন ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করেছি। আজ (কাল) প্রথম দলের সঙ্গে অনুশীলন করলাম।’ নাবীব নেওয়াজ জীবন ডান হাঁটুর চোট নিয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। পরে সুস্থ হলে কাতারে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। কাতার গিয়েও তাকে আলাদা অনুশীলন করতে হয়।

আর মাত্র চারটি মেডেন দরকার সাকিবের

দিন যত যাচ্ছে, সাকিব আল হাসানের রেকর্ডের খাতাটা ততোই সমৃদ্ধ হচ্ছে। এবার আরও একটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর মাত্র চারটি মেডেন ওভার করতে পারলেই বনে যাবেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মেডেনধারী বোলার।

টি-টোয়েন্টি, এই ফরম্যাটের খেলা মানেই চার-ছক্কার বন্যা। সংক্ষিপ্ত ওভারের এই ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা সব সময় সুযোগ খোঁজেন কিভাবে রানের সংখ্যা বাড়ানো যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ফরম্যাটে বোলাররা বেশ চাপে থাকেন। সেখানে মেডেন নেয়া কতটা কঠিন সেটা নতুন করে বলার দরকার নেই। যদিও কঠিন এই কাজটি প্রায়ই করে দেখান কয়েকজন খেলোয়াড়। সাকিব তাদের মধ্যে অন্যতম।

ক্রিকেটের সর্বশেষ সংস্করণে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ২৪ মেডেন আছে ক্যারিবিয়ান বোলার সুনিল নারিনের। তার পরের স্থানেই যৌথভাবে আছেন সাকিব এবং স্যামুয়েল বাদ্রি। এই দুইজনের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ২১টি করে মেডেন ওভার।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গতকাল (৩০ নভেম্বর) বেক্সিমকো ঢাকার মুখোমুখি হয় জেমকন খুলনা। এদিন অসাধারণ বোলিং করেন সাকিব। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে দুই মেইডেন দেন। তুলে নেন ১ উইকেট। এর বিপরীতে খরচ করেন মাত্র ৮ রান।

তামিমের ৬ হাজার

ক্রিকেটের ক্ষুদে সংস্করণে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তামিম ইকবাল। মাইলফলক থেকে ২৭ রান দূরে থেকে বুধবার ঢাকার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক।

মিরপুর স্টেডিয়ামে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ইনিংসের ১১তম ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে ৬ হাজারী ক্লাবে নাম লেখান তামিম। ২১৩ ম্যাচে ২১২তম ইনিংসে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এই ম্যাচে ব্যক্তিগত ৩১ রানেই আউট হয়েছেন তিনি।

তামিমের আগে টি-২০ ক্রিকেটে এই ক্লাবে স্পর্শ করেছেন ৩৯ জন ব্যাটসম্যান। ৬ হাজারের ক্লাবে নাম লেখানো ১০ম দ্রুততম ব্যাটসম্যান তামিম। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিমের পরই রয়েছেন সাকিব আল হাসান। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপেই ৫ হাজার রান পূর্ণ করেছেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এছাড়া ৪ হাজারের বেশি রান আছে মুশফিকের।

কাঠগড়ায় শামি, চাহাল, বুমরাহ!

অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ শেষ। দুটোর একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি ভারত। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অজিরা। উভয় ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া গড়েছে রানের পাহাড়। এর দায় দলের বোলারদের দিয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার মতে, নিজেদের কাজটা ভালোভাবে করতে পারেনি বোলাররা।

ফর্মে থাকা স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ, গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েলদের সামনে একরকম মুখ থুবড়েই পড়েছে ভারতীয় বোলারদের পার্ফম্যান্স। অজি ব্যাটসম্যানরা যতটা উজ্জ্বল ঠিক ততোটাই মলিন বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, নবদ্বীপ শাইনি, ইয়ুজবেন্দ্র চাহালদের বোলিং। দীর্ঘ বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে একরকম ধোলাই খেতে হচ্ছে তাদের।

যার কারণে ভারতীয় বোলারদের ওপর বিরক্ত কোহলি। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াতে পারিনি। ওরা আমাদের তুলনায় প্রত্যেকটি বিভাগে ভালো করেছে। বোলাররা ঠিক জায়াগায় বল করতে পারেনি। এটিই কাল হয়েছে। সেই সুযোগ লুফে নিয়েছে অজি ব্যাটসম্যানরা।