Blog

মুম্বাই হামলার ১২ বছর পরও পাকিস্তানের ধরাছোঁয়ার বাহিরে ১৯ জঙ্গি

মুম্বাইয়ে হওয়া জঙ্গি হামলার ১২ বছর পরও ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়ে গেছে এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লস্কর-ই-তৈয়বরে (এলইটি) ১৯ জঙ্গি। পাকিস্তানে বসবাস করা এবং হামলার পর পাকিস্তানে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া এই জঙ্গিদের দাগী আসামি বা ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হিসেবে ঘোষণা করলেও দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের আটক করতে খুব একটা তৎপর নয়। উল্টো আটক জঙ্গিদের বিভিন্ন মেয়াদে ‘লঘু’ শাস্তি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের এই ‘হাস্যকর’ সাজা দেয়ার মূল কারণ জঙ্গি অর্থায়নে সম্পৃক্তদের খুঁজে বের করার কাজে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দ্য ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ)। সম্প্রতি সংস্থাটি পাকিস্তানের উপর ‘গ্রে’ টাইপের অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বলবত থাকবে। জঙ্গি অর্থায়নে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কারণে এই অবরোধ আরোপ করা হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এই শাস্তির পরিমাণ যেন আরো না বাড়ে সে কারণে ১৯ জঙ্গিকে দাগি আসামি হিসেবে ঘোষণা ও আটক জঙ্গিদের শাস্তির কার্যক্রম শুরু করেছে পাকিস্তান।

অবশ্য পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) দেশটির সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছে, ১২০০ জনের বেশি জঙ্গির তালিকা করা হয়েছে এবং তাদের আটকের জন্য চেষ্টা করা চলছে। এই এফআইএ ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর থেকে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের খুঁজতে কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু এখনো তারা ১৯ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গিকে খুঁজে পায়নি।

পাকিস্তানের করাচী থেকে সমুদ্র পথে নৌকা নিয়ে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয় মুম্বাইয়ে। আমেরিকা, কানাডা, জর্ডান, মালয়েশিয়া, মরিশাস ও ইসরাইলের নাগরিকদের হত্যা করা হয় সেই সন্ত্রাসী হামলায়। জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বের সেই হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নারীসহ ১৬৬ জন। বিকলাঙ্গ হয়েছেন ৪৬ নারী ও ১৩ শিশুসহ ১৭৯ জন। মোট আহত হন ৩০০ জনেরও বেশি। এই হামলায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় মারা যায় ৯ জঙ্গি। হামলার স্থান থেকে আটক হওয়া আরেক জঙ্গি আজমল কাসাবকে পরবর্তীতে ভারতে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয় এবং তা কার্যকরও করা হয়।

কিন্তু বিগত ১২ বছরে পাকিস্তান তার দেশে আটক জঙ্গিদেরও শাস্তি দিতে পারেনি। সম্প্রতি সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিরা এখনো পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে জামিন আবেদন করেনি। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, এই জঙ্গিরা পাকিস্তানের এফএটিএফ ক্লিয়ারেন্স পাবার অপেক্ষায় আছে। এরপরই তারা জামিন আবেদন করে সুপ্রিমকোর্ট থেকে মুক্তি পাবে।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে ইরানের চিঠি

ইসরাইলের অপরাধী তৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ আহ্বান জানান।

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রেসিডেন্ট রুহানি তার বার্তায় বলেন, সাত দশকেরও বেশি ষময় ধরে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর সীমাহীন অত্যাচার, নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে মানবতার শত্রু ইসরাইল।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করা, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা, গাজা উপত্যকার ওপর করোনা পরিস্থিতির কঠিন দিনগুলোতে অবরোধ আরোপ করে রাখা, এবং গাজাবাসীর কাছে ন্যুনতম চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিতে বাধা দেওয়া- মানবতাবিরোধী অপরাধ ছাড়া আর কিছু নয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট তার বার্তায় বলেন, এসব ঘটনা শুধু ইসরাইল-ফিলিস্তিন পরিস্থিতিকেই শোচনীয় করছে না সেইসঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিরাপত্তা সংকট তৈরি করছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কিছু স্থায়ী সদস্য দেশের পরিপূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে ইসরাইলের ধৃষ্টতা দিন দিন বেড়ে চলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি তেহরানে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদে হত্যা করা হয়।এই ঘটনায় ইসরাইলকে দায়ী করছে ইরান। তবে এই হত্যাকাণ্ডের দায় অস্বীকার করেছে ইসরাইল।

লিঙ্গ রুপান্তর করে নারী থেকে পুরুষ হলেন অভিনেত্রী

এলেন পেজ মানেই পরিচিত তিনি। লিঙ্গ রুপান্তর করে নারী থেকে পুরুষ হওয়া এলেন এখন ‘ইলিয়ট পেজ’। ১ ডিসেম্বর নিজের জীবনের অন্যতম এই তথ্যটি প্রকাশ্যে আনলেন এলেন নিজেই।

সোশাল মিডিয়ার এক পোস্টে ৩৩ বছর বয়সী অভিনেতা লিখেছেন, ‘বন্ধুগণ, আমি জানাতে চাই যে আমি নিজেকে রুপান্তর করেছি। এখন থেকে আমাকে ‘হি/দে’ বলুন এবং আমার নাম এলিয়ট। এটা একটা অদ্ভুত ভালোলাগা। এই অনুভূতিটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। কী দুর্দান্ত একটা ভালোলাগা, এখন আমি যা সেভাবেই নিজেকে মেলে ধরতে পারব। আমার আসল সত্ত্বা এটা।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমি ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির বহু মানুষ দ্বারা ভীষণরকমভাবে অনুপ্রাণিত। তোমাদের সকলকে সাহসের জোগানোর জন্য ধন্যবাদ। তোমাদের প্রয়াস আমাকে অনুপ্রাণিত করে তোলে।’

এলিয়টের এই সিদ্ধান্ত ও রুপান্তরকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হলিউডের অনেক তারকাই। তারা সোশাল মিডিয়ায় এলিয়টকে ট্যাগ করে সাহসী এই পদক্ষেপের জন্য শুভকামনা জানান।

গিলগিটের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ

গিলগিটের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুললেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সদস্য তিলক দেবাশীর। গত ৩০ নভেম্বর ভারতের সংবাদ মাধ্যম “দ্যা ট্রিবিউন”-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।

গিলগিট-বালতিস্তান (জিবি)-র বিধানসভায় ১৫ ই নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল এই অঞ্চল এবং পাকিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য সুদূরপ্রসারী ফলাফল বয়ে আনতে পারে। তবে কারচুপির অভিযোগে এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পিপিপি এবং পিএমএল-এন।

বিলাওয়াল ভুট্টো অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের চেয়ে সপ্তাহখানেক আগে গিলগিটে পৌঁছে এ ক্যাম্পেইন শুরু করেছিলেন। তাঁর প্রচারণাটি অন্যদের থেকে কিছুটা ভিন্ন রকমের ছিল, যা অন্যান্য প্রার্থীদের অনুকরণীয় ছিল।তার এই ভিন্ন মাত্রার প্রচারণার জন্য ভবিষ্যত রাজনৈতিক জীবনে তার ভাল স্থানে দাঁড়ানো উচিত।

ইমরান খানের জনপ্রিয়তার অভাবের কারণে গিলগিট-বালতিস্তানে পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। মরিয়ম নওয়াজ বিলাওয়ালকে অনুসরণ করেছিলেন যার মধ্যে ছিল গিলগিট-বালতিস্তানের বেশ কয়েকটি সমাবেশ ও প্রচারণার জন্য সেখানে তার সাত দিনের অবস্থান।

তার বক্তৃতায় তিনি ইমরান খান এবং তাঁর ‘নির্বাচিত ও প্রত্যাক্ষিত’ সরকারকে নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

১লা নভেম্বর গিলগিটে এক সংক্ষিপ্ত সফরে এসেছিলেন ইমরান খান। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন যে গিলগিট-বালতিস্তানকে ‘অস্থায়ী’ প্রাদেশিক মর্যাদা দেওয়া হবে,এটি ছিল তার জয়ের জন্য এক প্রকার চালাকি এবং মিথ্যা আশ্বাস।

তবে, পিটিআইয়ের প্রচারণা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল কাশ্মীর বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুরের অশ্লীল ও যৌনতাবাদী মন্তব্যের মাধ্যমে। তিনি একটি সমাবেশে মরিয়মকে উল্লেখ করে বলেন যে, মরিয়ম কে সুন্দর দেখানোর কারণ তিনি লক্ষ লক্ষ করদাতার অর্থ তার ফেস সার্জারিতে ব্যয় করেছেন এবং জনগণের টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করেছেন। অনুরূপ ভাবে তিনি ব্যঙ্গাত্মক করে বিলওয়াল ভুট্টোকে ‘মানুষ হওয়ার’ জন্য অনুরোধ করেন।

এদিকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন)এর ১০ জন নেতাকে পিছিয়ে ফেলে তাদের নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই,(পিটিআই) একক বৃহত্তম দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে, ২৪ জনের মধ্যে নয়টি আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তারা।

স্বতন্ত্ররা ছয়টি আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) তিনটি আসন, পিএমএল-এন এবং অন্যান্যরা একটি করে আসন জিতেছে। পরে পিটিআই এর এক বিজয়ী প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। পাঁচজন স্বতন্ত্র দলে যোগদানের পর পিটিআই সরকার গঠন করবে। তবে, পিটিআই নিজে থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি যা থেকে প্রমাণ হয় যে গিলগিট-বালতিস্তানে ইমরান খান অখ্যাত। আসলে, পিএমএল-এন টার্নকোটের অনুপস্থিতিতে পিটিআই তৃতীয় অবস্থানে চলে আসতে পারত।

কারচুপির অভিযোগের গিলগিট-বালতিস্তান নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছিল। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন নেটওয়ার্ক (এফএফএন) এর তথ্যমতে ভোটকেন্দ্র গড়ে গড়ে তিনটি অবৈধতা বা অনিয়মের কথা জানানো হয়েছিল। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, অনিয়মের মধ্যে রয়েছে ভোটের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, ভোটারদের পক্ষ থেকে অন্যদের দ্বারা ব্যালট লাগানো এবং নিবন্ধিত ভোটারদের ভোটদানে বাঁধা প্রদান।

পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন এবং গিলগিট সাংবাদিক ইউনিয়ন নিশ্চিত করেছে এমন অনেকগুলি অনিয়মের কথা উঠে এসেছে। ভোট কেন্দ্রে অতিরিক্ত এবং জাল ব্যালট পেপার দেয়া হয়েছিল এবং বেশ কয়েকটি ভোটার কেন্দ্রে মহিলাদের ভোটদান থেকে বিরত রাখা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রে ভোট পর্যবেক্ষকদের গণনা শুরুর আগেই ভোটকেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।

পিপিপি এবং পিএমএল-এন উভয়ই এ ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিল, এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা নিয়ে বিলাওয়ালের একটি নতুন স্লোগান গিলগিট-বালতিস্তানে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তা হচ্ছে, ‘ভোট দা ডাকা নামঞ্জুর’। মরিয়ম এক টুইট বার্তায় বলেন যে,পিটিআই’র পূর্ণ রাষ্ট্র ক্ষমতা, সরকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারী কলা কুশলীদের মাধ্যমে কারচুপি করেও সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি যা তাদের জন্য ‘লজ্জাজনক পরাজয়’।

নির্বাচনী জালিয়াতির কারণে গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে একের পর এক প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিশেষত গিলগিট ও চিলাসে সুরক্ষা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাইতে বাধ্য করেছে।

গিলগিট-বালতিস্তানে এবং তথাকথিত আজাদ জম্মু কাশ্মীর নির্বাচনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হ’ল সাধারণ ভাবে ইসলামাবাদে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরাই এই অঞলে জয় পায়। আগের দুটি নির্বাচনে, ২০০৯ সালে পিপিপি এবং ২০১৫ সালে পিএমএল-এন তাদের কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় তারা জয়ী হয়েছিল।

পিটিআই এবং বিরোধী জোট পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলন (পিডিএম) এর মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পটভূমির বিরুদ্ধে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এদিকে পিটিআই দাবি করেছে যে জরিপের ফলাফল বিরোধীদল গুলোর মানসিকতা ভেঙে দিয়েছে; পিপিপি এবং পিএমএল-এন এ ফলাফল কারচুপির ব্যাপারে অভিযোগ তুলেছে।

এদিকে সেনাবাহিনী এটি নিশ্চিত করেছে যে পিটিআই সরকার গঠনের জন্য ও সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে দীর্ঘমেয়াদে রাখার জন্য জন্য কৌশলগতভাবে পিডিএমকে গোলাবারুদ সরবারহ করেছিল।

চীনে বিদেশীদের ‘ধর্মীয় উগ্রবাদ নিষিদ্ধ’ করার জন্য নতুন বিধিনিষেধ

চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে বিদেশি ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং উপাসকদের বিরুদ্ধে আগামীতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত খসড়া বিধিমালাতে ‘ধর্মীয় উগ্রবাদ’-এর বিস্তার রোধে বিদেশি উপাসকদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন বিধিনিষেধের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ।

শি’র অধীনে ধর্মীয় অনুশীলন নিয়ন্ত্রণের সর্বশেষ পদক্ষেপ হলো, নতুন নিয়মগুলি বর্তমানে জনসাধারণের মতামতের জন্য উন্মুক্ত আছে তবে তাদের বর্তমান নিয়ম গঠনে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

চীন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নাস্তিক রাষ্ট্র, যেখানে গণপ্রজাতন্ত্রী ধর্ম সর্বদা তাদের অবস্থান দখল করে থাকে। কমিউনিস্ট সরকার পাঁচটি সরকারী বিশ্বাসের অনুমোদন দেয় এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে তা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এই ধর্মগুলি হলো চাইনিজ বৌদ্ধধর্ম, তাওবাদ, ইসলাম, ক্যাথলিক ধর্ম, প্রোটেস্ট্যান্টিজম। এই গোষ্ঠীগুলির ধর্ম পালনে বাইরেও তাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপ গুলিও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।এছাড়াও সরকারীভাবে স্বীকৃত নয় এমন অনেক বিশ্বাস যেমন মরমোনবাদ, ইহুদী ধর্ম, কোয়েকারস-চীনে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে। যা বিদেশীদের ক্ষেত্রে সাধারণত আরও বেশি স্বাধীনতা রয়েছে। বিদেশী ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির প্রতি সংবেদনশীলতা এখনও প্রবল রয়েছে চীনে।

২০১৮ সালে চীন একটি গোপনীয় এবং ব্যাপক বিতর্কিত চুক্তি করেছিল, যা এই অক্টোবরে আরও দু’বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল, তবে আরও স্থায়ী ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা স্থগিত বলে মনে হয়। এই সপ্তাহে প্রকাশিত একটি বইতে পোপ ফ্রান্সিস প্রথমবারের মতো উইগার্সকে ‘নির্যাতিত মানুষ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, উইঘুরদের সম্পর্কে পোপ ফ্রান্সিস যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। “চীনে ৫৬ টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী রয়েছে এবং উইঘুর জাতিগোষ্ঠী চীনা জাতির বৃহত্তর পরিবারের সমান সদস্য।

এ বিষয়ে ঝাও আরও বলেন, চীন সরকার সর্বদা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সাথে সমান আচরণ করেছে এবং তাদের বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। এই খসড়ার অন্যান্য অংশগুলি ইসলামী গোষ্ঠীগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে বলে মনে হচ্ছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জিনজিয়াং এবং চীন জুড়েই তারা প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছে, সাম্প্রতিক আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী ২৩ মিলিয়ন মুসলমান রয়েছে চীনে।

চীনের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম বিশেষজ্ঞ রিয়ান থুম বলেছেন, বিধিনিষেধগুলি ‘বিদেশি ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং উপাসকদের ভীতির কারণ হতে পারে। যা বর্তমান সময়ের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, ‘চীনের ধর্মীয় স্বাধীনতা’ কথাটি বারবার ব্যবহার করে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম, যা ‘বিদেশী’ প্রভাবের ধর্মগুলিকে শুদ্ধ করার ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী আকাঙ্ক্ষাকে ইঙ্গিত করে।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউট (এএসপিআই) এর সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে জিনজিয়াংয়ের প্রায় তিনটি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

চায়না রিসার্চর আকাদ বলেন, দিন দিন চীনে ওহাবী আদর্শের জনপ্রিয়তা এবং সৌদি আরবের সাথে ঘনিষ্ঠ সংযোগ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, যা গত দশক বা তারও বেশি সময় ধরে আপাতদৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।

জিনজিয়াংয়ের বাইরে সরকার তার বৃহত্তম মুসলিম গোষ্ঠীর দিকে মনোনিবেশ করার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে হুই সংখ্যালঘুদের মধ্যে বেশিরভাগ চীনাভাষী মুসলমানদের উপর চাপ পড়েছে।

থুম বলেন, কিছু খ্রিস্টান মিশনারিরা চীনে অবৈধভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী বিদেশী ধর্মীয় অনুশীলনে আশেপাশের অঞ্চলগুলিকে আরও কঠোর নিরাপত্তার আওতায় আনা হতে পারে।

নতুন প্রস্তাবটিতে সুনির্দিষ্ট শাস্তি তালিকাভুক্ত না করা হলেও, একটি পরামর্শ রয়েছে যে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে তারা কঠোর হতে পারে ও ‘পাল্টা গুপ্তচরবৃত্তি আইন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা বিধি আহ্বান করার কথাও বলা হয়েছে।

৩ শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লার মুরাদনগরে ৩ শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা দায়ের করার আগেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন উপজেলার কামাল্লা গ্রামের মোশাররফ চৌধুরী (৬২) নামের ওই ব্যক্তি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা গ্রামের চৌধুরী বাড়ির মোশাররফ চৌধুরী গত ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর তার প্রতিবেশী ৩ শিশু কন্যাকে প্রলোভন দেখিয়ে তার ঘরে নিয়ে যৌন নিপীড়ন চালায়। গত ২৯ নভেম্বর নিপীড়নের শিকার এক শিশু বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরে অপর দুই শিশুও বিষয়টি নিজ নিজ পরিবারকে অবহিত করে। এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

রাতে মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ভুক্তভোগী একটি পরিবার মোশারফ চৌধুরীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

কোচ জেমি কাতার যাচ্ছেন আজ

দম বন্ধই হয়ে যাচ্ছিল জেমির। পঞ্চমবার এসে বাংলাদেশ ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডের করোনা নেগেটিভ এসেছে। সেই খবরে কাতারে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে জাতীয় ফুটবল দল। দম নিচ্ছেন কোচ জেমি ডে নিজেও। আজই কাতারের পথে রওনা হবেন। শুক্রবার কাতারের রাজধানী দোহায় বাংলাদেশ ও কাতার বিশ্বকাপের ফিরতি বাছাই ম্যাচে মুখোমুখি হবে।

গত ১৩ এবং ১৭ নভেম্বর ঢাকায় বঙ্গবন্ধু ফুটবল সিরিজে খেলেছিল বাংলাদেশ ও নেপাল। দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই কোচ জেমি ডের করোনা ধরা পড়ে। তার পর হতেই জেমি ডে ঢাকায় হোটেল রুমে। টানা ১৪ দিন রুমের মধ্যে অবস্থান করে জেমির যেন দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। চার বার করোনা টেস্ট করিয়ে পজিটিভ হন। পঞ্চমবারে জেমি নেগেটিভ হয়েছেন। যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। ইংল্যান্ডে তার পরিবার ছিল দুশ্চিন্তায়। যতদূর জানা গেছে, সারাক্ষণ জেমির পরিবার কথা বলেছেন ঢাকায়। জেমি খুব খুশি, বিপদ কেটে গেছে।

ঢাকায় বিপদ কাটলেও কাতারে গিয়ে কী হবে সেটা নিশ্চিত না। সেখানে বিমান থেকে নেমেই আবার করোনা টেস্ট করানো হবে। বাফুফে চেষ্টা করছে কাতার যেন নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জানিয়ে দেয়। নেগেটিভ হলে জেমি ফুটবল দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন। সেই সঙ্গে শুক্রবার ম্যাচেও ডাগ আউটে অবস্থান করতে পারবেন।

বাংলাদেশ ফুটবল দল কাতারে গিয়ে দুটি অনুশীলন ম্যাচ খেলছে। প্রথম ম্যাচে ৩-২ গোলে আর্মি ফুটবল দলের বিপক্ষে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে লুজাইল স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে। দুই ম্যাচের ভুল নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এখন। গতকাল দোহায় সুপার ক্লাবের আল আজীজিয়া বুটিকের মাঠে দেড় ঘণ্টা অনুশীলন করেন জামাল ভুঁইয়ারা। তপু বর্মণদের দেখানো হয়েছে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করে খেলতে হবে। বিশেষ করে পাসিং, কাউন্টার আক্রমণ, ছোট ছোট দল তৈরি করে খেলানো হয়েছে। তার পরই জিমনেসিয়ামে গিয়েছেন খেলোয়াড়রা। বিকালে সুইমিংপুলে সাঁতার কেটেছেন। এভাবেই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ফিটনেস আনার কাজটাও এগিয়ে আনা হচ্ছে। কাতারকে ঠেকাতে রক্ষণ মেরামতের কাজ চলছে।

জাতীয় দলের স্টাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন গতকালই প্রথম দলের সঙ্গে পুরোপুরি অনুশীলন করেছেন। ঢাকা থেকে যাওয়ার পর নিজে নিজে একা অনুশীলন করেছেন বলে গতকাল কাতার থেকে ভিডিও বার্তায় জানান জীবন। তিনি বলেন, ‘আমি এতদিন ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করেছি। আজ (কাল) প্রথম দলের সঙ্গে অনুশীলন করলাম।’ নাবীব নেওয়াজ জীবন ডান হাঁটুর চোট নিয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। পরে সুস্থ হলে কাতারে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। কাতার গিয়েও তাকে আলাদা অনুশীলন করতে হয়।

অনুমতি ছাড়া মিছিল-সমাবেশ করলেই ব্যবস্থা

রাজধানী ঢাকাতে অনুমতি ছাড়া মিছিল ও সভা-সমাবেশ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আর এই নির্দেশনা করে কেউ যদি মিছিল ও সমাবেশ করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে ডিএমপি।

২ ডিসেম্বর, বুধবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে ডিএমপি এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন সভা, সমাবেশ, গণজমায়েতসহ নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছে। ফলে রাস্তায় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যমান আইনে বৈধ কোনো দল বা গোষ্ঠীর সমাবেশের স্বাধীনতা থাকলেও বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের আরোপিত যুক্তিসংগত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগ দেয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের আছে।

তবে সাধারণ জনগণের নাগরিক সুবিধা অক্ষুণ্ন রাখা, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে এ ধরনের কর্মসূচি পালন এবং শব্দযন্ত্র ব্যবহারের জন্য ডিএমপি অধ্যাদেশ অনুসারে ডিএমপি কমিশনারের পূর্বানুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আরো বলা হয়, ডিএমপি ঢাকা মহানগরের নাগরিকদের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো প্রকার মিছিল, সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কার্যক্রম গ্রহণ এবং এ জন্য শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছে। পূর্বানুমতি ছাড়া কেউ এরূপ কার্যকলাপে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

গোপন নথি ফাঁস, করোনা নিয়ে ভয়ানক মিথ্যাচার চীনের

করোনা নিয়ে চীনের মুখোশ খুলে দিয়েছে গোপন নথি।সম্প্রতি, চীনের করোনা মহামারি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন। সেখানে স্থানীয়ও স্বাস্থ্যকর্মীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে দাবি করা হযেছে যে, প্রথমদিকে করোনা সংক্রমণের কথা গোপন রেখেছিল হুবেই প্রশাসন।

হুবেই প্রভিন্সিয়াল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের এক কর্মীর কাছ থেকে ১১৭ পৃষ্ঠার একটি গোপন নথি সংগ্রহ করেছে সিএনএন। জানা গেছে, অন্তত ছ’জন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সেই নথি খতিয়ে দেখে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ওই নথিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে অক্টোবর ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত খবর চেপে গিয়েছে চীন সরকার।

নথিতে বলা হয়, স্থানীয় চিকিৎসকদের মতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত হুবেইয়ে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯১৮। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে এর অর্ধেক দেখানো হয়েছিল। ফলে, কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।

এখনো অনেকেই মনে করেন উহানের একটি গবেষণাগার থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আবার অনেকের দাবি, উহানের একটি সামুদ্রিক মাছের ও মাংসের বাজার থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়।

ট্রাম্পের ক্ষমার জন্য ঘুষ: যুক্তরাষ্ট্রে তদন্ত শুরু

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য হোয়াইট হাউজে ঘুষ লেনদেনের পরিকল্পনার সম্ভাব্য এক ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট জজ বেরিল হাওয়েল মঙ্গলবার প্রসিকিউশনকে এই তদন্ত শুরুর অনুমতি দেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া যোগসূত্র নিয়ে এফবিআইয়ের কাছে মিথ্যা বলার কারণে বরখাস্ত হয়েছিলেন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ অবশ্য বলেছে, সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে নিশানা করে এই তদন্ত তারা শুরু করছে না। বার্তা রয়টার্স জানিয়েছে, আদালতের নথিতে এ বিষয়টিকে ‘ক্ষমার জন্য ঘুষ নিয়ে তদন্ত’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

তবে ১৮ পৃষ্ঠার ওই নথির যে সংস্করণটি সবার দেখার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে অর্ধেক তথ্যই ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যে অংশটুকু পড়া যায়, তাতে কারও নাম বা অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেই।

ওয়াশিংটনে ফেডারেল প্রসিকিউটররা আদালতকে বলেছেন, ঘুষ লেনদেনের পরিকল্পনার কিছু প্রমাণ তারা পেয়েছেন, যেখানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা বা দণ্ড মওকুফের বিনিময়ে ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা’ দেওয়ার প্রস্তাব করার কথা রয়েছে।নিয়ম ভেঙে গোপনে তদবির করার একটি অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করার অনুমতি পেয়েছেন ফেডারেল প্রসিকিউটররা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদের শেষ বেলায় বিচার বিভাগের এই তদন্তের ঘোষণা নতুন আলোচনার জন্ম দিল।

তবে এই বিষয়ে এখনো হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।